অভিবাসী ও নবাগতদের জন্য হেপাটাইটিস সি এর তথ্য
আপনার নিজের ভাষায় হেপাটাইটিস সি সম্পর্কে জানুন
এ ওয়েবসাইটটি অন্টারিওর অভিবাসীরা যে ভাষায় সবচেয়ে বেশী কথা বলে সে ভাষায় হেপাটাইটিস সি এর সবচেয়ে আপ-টু-ডেট তথ্য প্রদান করে থাকে।
কানাডায় অভিবাসী ও নবাগতদের মধ্যে হেপাটাইটিস সি
কানাডায় হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত প্রতি তিনজনের একজনই বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন; বিশেষ করে হেপাটাইটিস সি’র প্রকোপের উচ্চহার রয়েছে এমন দেশগুলো থেকে এই রোগ নিয়ে এসেছেন। কানাডায় সাধারণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় কয়েক ধরণের অভিবাসীদের মধ্যে হেপাটাইইটস সি সংক্রমণের হার বেশী। আর ঠিক এ কারণেই আপনাদের উচিত আরো বেশী বেশী হেপাটাইটিস সি এর তথ্য জানা এবং এর পরীক্ষা করা।
হেপাটাইটিস সি ও লিভার বা যকৃত
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস লিভার-এ ক্ষত সৃষ্টি করে
হেপাটাইটিস সি হলো হেপাটাইটিস সি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট লিভারের একটি রোগ । রক্তে এ ভাইরাস প্রবেশের পর তা সরাসরি লিভারের কোষগুলোকে সংক্রমিত করে এবং তা প্রতিরূপ সৃষ্টি করে বহুগুনে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ লোক সংক্রমিত হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই আপনাআপনি এ ভাইরাস শরীর থেকে নির্মুল করে ফেলে । তবে শতকরা ৭৫ ভাগ লোক নিজে থেকে এ ভাইরাস নির্মুল করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে দীঘর্মেয়াদী সংক্রমেণের দিকে ধাবিত হয়। ভাইরাস লিভার কোষে বাসা বেধে তা বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে থাকে আর ওদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে থাকে। এর ফলে লিভারে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লিভারের টিস্যুতে ক্ষত সৃষ্টি হয় যা ফাইব্রোসিস নামে পরিচিত।
অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিভারের সংক্রমণ ঘটে অত্যন্ত ধীরে । একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি তার দেহে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস নিয়ে কোনোরকম অসুস্থতা ছাড়াই ২০ থেকে ৩০ বছর বা তারও বেশী সময় বেঁচে থাকতে পারে। যদিও পুরো সময় জুড়ে ভাইরাসটি তার লিভারের ক্ষতি করতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একজন ব্যক্তির লিভারে ক্ষত আরো প্রকট হতে থাকে এবং লিভারটি শক্ত হতে থাকে। এ অবস্থাকে লিভার সিরোসিস বলে। সিরোসিস লিভারের ক্যান্সার, লিভার ফেইলার বা মৃত্যু ঘটায়।
তবে আশার কথা হলো এখন হেপাটাইটিস সি এর অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং আক্রান্ত প্রায় সকলেই সেরে উঠতে পারেন।
লিভার
লিভার বা যকৃত দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়, দেহের ভিতরের বিষাক্ত পদার্থ এবং ওষুধ ভেঙ্গে দেয়, খাবার হজম করতে এবং আরো অনেক কাজে সাহায্য করে থাকে।
লিভার নানা কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণঃ
- শরীরে যে রাসায়নিক ও অন্যান্য পদার্থ ও উপাদান প্রবেশ করে তা পরিশোধন করে
- হজমে সহায়তা করে
- রক্ত ও অন্যান্য প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে
লিভার শরীরের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অঙ্গ এবং এটি মূলত নিজে নিজে সেরে উঠতে পারে। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস, মদ, রাসায়নিক দ্রব্য ও কিছু কিছু ওষুধ লিভারের স্থায়ী ক্ষতি সাধন এবং এর কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
লিভার ছাড়া আপনি বেঁচে থাকতে পারবেন না।
হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ
হেপাটাইটিস সি একজনের রক্ত থেকে অন্যজনের রক্তে ছড়িয়ে পড়ে
সাধারণ স্পর্শ যেমন কাউকে জড়িয়ে ধরলে, চুমু খেলে বা ছুঁয়ে দিলে হেপাটাইটিস সি ছড়ায় না। তাছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার সময় বা মাদক গ্রহনের সময় ব্যবহৃত সরঞ্জাম সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত করা হলেও হেপাটাইটিস সি ছড়ায় না।
সাধারণত দেহের ত্বক বা দেহকে সুরক্ষা প্রদানকারী অন্য যে কোনো আবরণ চিড়ে গেলে সেখান দিয়ে হেপাটাইটিস সি রক্তে প্রবেশ করে। হেপাটাইটিস সি একটি শক্তিশালী ভাইরাস এবং দেহের বাইরে অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারে । অর্থাৎ শুকনো রক্তও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস প্রায়শই যেভাবে শরীরে প্রবেশ করেঃ
- মেডিকেল, ডেন্টাল ও অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত না করে পুনরায় ব্যবহার করা হলে। কানাডায় মেডিকেল, ডেন্টাল ও অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত করা হয়। তবে কানাডার বাইরের অনেক দেশের চিকিৎসা কেন্দ্রে এইসব সরঞ্জাম সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত নাও করা হতে পারে।
- হেপাটাইটিস সি ভাইরাস পরীক্ষা না করে রক্ত দেয়া হলে বা কোনো অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হলে তাতে এ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। কানাডায় ১৯৯০ সাল থেকেই দাতার রক্ত পরীক্ষা করে তা ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু কিছু দেশে অতি সম্প্রতি এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
- মাদক প্রস্তুত ও ব্যবহারের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম (যেমন, সুঁচ, সিরিঞ্জ, কাঁচের নল, টর্নিকেট, টিজ, চামচ, ফিল্টার, জল ও সোয়াব) ভাগাভাগি করা
- শরীরে ফুটো করা, ট্যাটু আকাঁর সরঞ্জাম (যেমন, সুঁচ, কালি বা কালির পাত্র), অথবা আকুপাংচার বা ইলেকট্রোলাইসিস এর জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম পুনরায় ব্যবহার করা
আরো যেসব পন্থায় হেপাটাইটিস সি দেহে প্রবেশ করতে পারেঃ
- ব্যক্তিগত ব্যবহারের সরঞ্জাম যেমন, টুথব্রাশ, নখ কাটার যন্ত্র ও রেজার যাতে রক্ত লেগে থাকতে পারে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলে। যেমন নাপিতের দোকানে শেভ করা, যেখানে অন্যের ব্যবহৃত রেজার পুনরায় ব্যবহার করার বিষয়টি বহুল প্রচলিত।
- কোনো কোনো সমাজে হাতুড়ে চিকৎসকদের মধ্যে চামড়া কেটে বা ফুটো করে চিকিৎসা করার প্রচলন আছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিটি ”ওয়েট কাপিং” নামে পরিচিত।
- যৌন মিলনের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি এর সংক্রমণ খুব একটা হয় না । নারী ও পুরুষে যৌন মিলন এবং পুরুষে পুরুষে পায়ুপথে কনডম ছাড়া যৌনমিলনে হেপাটাইটিস সি এর সংক্রমণ এর ঘটনা খুবই বিরল । তবে কোনো কোনো অবস্থা, যেমন সঙ্গীর যদি এইচআইভি বা অন্য কোনো যৌনবাহিত রোগ থাকে অথবা chemsex (দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গমের জন্য রাস্তা থেকে কেনা উত্তেজক ওষুধ সেবন করে) তাহলে তা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ।
- গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় মা থেকে শিশুর দেহে হেপাটাইটিস সি সংক্রমণের আশঙ্কা কানাডাতে খুবই কম। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে স্বাস্থ্য সেবা খাতের অবস্থা ভিন্ন সেখানে হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত মায়ের র্গভে জন্ম নেয়া শিশুর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশী।
হেপাটাইটিস সি এর পরীক্ষা
আপনি হেপাটাইটিস সি এ আক্রান্ত কিন্তু আপনি হয়তো জানেনই না।
আপনার শরীরে হেপাটাইটিস সি আছে কি না তা জানার একমাত্র উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা। আপনি হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত কি না তা সাধারণত রক্তের দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।
১. হেপাটাইটিস সি এ্যান্টিবডি টেস্টিং এর মাধ্যমে জানা যায় যে, আপনি কখনো এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন কি না।
২. কনফারমেটরি টেস্ট এর মাধ্যমে জানা যায় যে, বর্তমানে আপনার দেহে এ ভাইরাস আছে কি না।
যতই দিন যাচ্ছে হেপাটাইটিস সি পরীক্ষার বিষয়টি আরো সহজতর হয়ে উঠছে। তবে এক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি হেপাটাইটিস সি এর শুধু এ্যান্টিবডি টেস্ট নয়, কনফারমেটরি টেস্ট এর রেজাল্টও পাচ্ছেন।
কোনো ব্যক্তি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে নিজে থেকেই এ রোগ মুক্ত হোন অথবা হেপাটাইটিস সি চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ মুক্ত হোন, তার রক্তে এ্যান্টিবডি থেকে যাবেই। আর তাই কোনো ব্যক্তি কনফারমেটরি টেস্টে পজিটিভ হলেই কেবলমাত্র তিনি অন্য কারো দেহে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন, নতুবা নয়।
হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসা
হেপাটাইটিস সি সারিয়ে তোলা সম্ভব!
হেপাটাইটিস সি এর অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং এ চিকিৎসায় প্রায় সকলকেই সারিয়ে তোলা সম্ভব। অধিকাংশ ব্যক্তিরই হেপাটাইটিস সি সারিয়ে তোলার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসা পদ্ধতির নাম “ডাইরেক্ট এ্যাক্টিং এ্যান্টিভাইরাল” বা ডিএএ। এ চিকিৎসা পদ্ধতির ওষুধগুলো পিল আকারে পাওয়া যায়, সহজে সেবন যোগ্য, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে এবং অল্পদিন সেবন করতে হয়।
হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত সকলেরই উচিত তাদের সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে চিকিৎসার অপশনগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া।
হেপাটাইটিস সি চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলোঃ
- শরীর থেকে ভাইরাস নির্মুল করা
- লিভারের ক্ষত ন্যুনতম পর্যায়ে রাখা
- আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন এবং
- অন্য ব্যক্তির দেহে হেপাটাইটিস সি এর সংক্রমণ রোধ – কোনো ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি মুক্ত হওয়া মানে তার দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাবে না। তার অর্থ হলো সেই ব্যক্তি অন্য কারো দেহে ভাইরাস ছড়াতেও পারবে না।
চিকিৎসার প্রস্তুতি
হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসার অনেকগুলো অপশন আছে। চিকিৎসার অপশন ঠিক করার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার তা হলোঃ
- আক্রান্ত ব্যক্তির লিভারের ক্ষত এর পরিমান
- আক্রান্ত ব্যক্তির ভাইরাস এর স্ট্রেইন বা জেনোটাইপ
- আক্রান্ত ব্যক্তির আগে কোনো চিকিৎসা হয়েছে কি না
- আক্রান্ত ব্যক্তি ইতিমধ্যেই যে ওষুধগুলো সেবন করছেন
- আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যের সামগ্রিক অবস্থা
হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসার প্রস্তুতি নেওয়ার মানে হলো স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। সঠিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে যথাযথ সাহায্য পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীগন হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসা শুরু, চলাকালিন এবং শেষে নিয়মিত রোগীর অবস্থা মূল্যায়ন করবেন।
হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসাই পারে একজন রোগীর লিভার ও তার জীবন বাঁচাতে।
হেপাটাইটিস সি এর নিরাময় রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস নির্মূল করে ঠিকই তবে তা পুনরায় সংক্রমণের হাত থেকে রোগীকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেয় না।
ভাইরাস নির্মূল হলেও তা রোগীর দেহে হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে না, আর তাই পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। ফের ভাইরাসের সংস্পর্শ পরিহার করলেই হেপাটাইটিস সি ভাইরাসবিহীন সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব।
আপনি পুনরায় হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, টেস্টে পজিটিভ হলে এবং আপনিআপনিই সেরে না উঠলে আবারও আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
হেপাটাইটিস এ ও বি এর মধ্যে পার্থক্য
হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস এ ও বি এর থেকে আলাদা
মানুষ যখন না জেনে কোনো মলযুক্ত পদার্থ (যেমন পায়খানা) দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণ করে তখন তার দেহে হেপাটাইটিস এ এর সংক্রমণ হয় । আক্রান্ত প্রায় সব মানুষই কোনো ওষুধ সেবন না করেই হেপাটাইটিস এ মুক্ত হয়ে যায় এবং দেহে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আছে এমন কোনো ব্যক্তির রক্ত, বীর্য বা যোনিরস অন্য কোনো সুস্থ ব্যক্তির রক্ত, বীর্য বা যোনিরস এর সংস্পর্শে এলে তখন সুস্থ ব্যক্তি এ ভাইরাস-এ আক্রান্ত হতে পারেন । জন্মের সময় শিশুর দেহে এ ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে । হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই আপনাআপনি শরীর থেকে ভাইরাস নির্মূল করতে পারেন এবং তাদের শরীরে পরে ভাইরাসটি আর আক্রমণ করে না কারন শরীর এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে ।
তবে যাদের দেহে ভাইরাস আপনাআপনি নির্মূল হয় না তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় । যেসব ব্যক্তি কম বয়সে হেপাটাইটিস বি এ আকান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের আশংকা বেশী থাকে। দীর্ঘদিন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা এ ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, এ পর্যায়ে ক্রনিক (পুরোনো) হেপাটাইটিস বি রোগ নিরাময় করা সম্ভব নয়।
হেপাটাইটিস এ ও বি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা অত্যন্ত সহজলভ্য ।
আপনার নিকটস্থ হেপাটাইটিস সি সেবাসমূহ
আপনার নিকটস্থ হেপাটাইটিস সি সেবাসমূহ খুঁজে বের করুন
কানাডায় বসবাসরত মানুষ এই অনলাইন টুল এর মাধ্যমে তাদের এলাকায় বিদ্যমান হেপাটাইটিস সি সেবাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। http://hcv411.ca/
অন্টারিওর অধিবাসীরা হেপাটাইটিস, এইচআইভি ও যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ে যে কোনো তথ্যের জন্য সেক্সুয়াল হেলথ ইনফোলাইন অন্টারিও (Sexual Health Infoline Ontario) এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দু, তাগালোগ, ম্যান্ডারিন, ক্যান্টোনিজ সহ বিভিন্ন ভাষায় সেবা প্রদান করা হয়। ওখানে যোগাযোগ করলে তারা আপনার পছন্দের ভাষায় কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় ঠিক করে দেবেন। তারা আপনাকে পরীক্ষার জন্য অন্টারিওর কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও রেফার করতে পারেন।
অন্টারিওতে বিনামূল্যে কল করার জন্য ফোন নম্বরটি হলো: ১-৮০০-৬৮৬-৭৫৪৪
সোমবার থেকে শুক্রবার: সকাল ১০- রাত ১০:৩০ পর্যন্ত
শনিবার ও রবিবার: সকাল ১১ টা- বিকেল ৩টা পর্যন্ত
অন্টারিওর বাইরে, এ ধরণের সেবার জন্য আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।